29.5 C
Rajshahi
বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫

Buy now

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

শরিফুলই কি সাইফের হামলাকারী, আঙুলের ছাপে চমকপ্রদ তথ্য

print news

অনলাইন ডেস্ক : আগেই প্রশ্ন উঠেছিল, মুম্বাই পুলিশ বাংলাদেশি যে তরুণকে আটক করেছে, তার সঙ্গে সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়া হামলাকারীর মিল নেই। আটক তরুণ শরিফুল ইসলামের বাবাও বারবার বলে আসছেন, সিসিটিভি ফুটেজে যাকে দেখা গেছে, তার সঙ্গে শরিফুলের চেহারার মিল নেই। ছবির ওই ব্যক্তি তার সন্তান নন। অথচ পুলিশ শুরু থেকে শরিফুলকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করে আসছে। তবে সর্বশেষ ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রতিবেদনে নতুন প্রশ্ন সামনে এসেছে। আদৌ কি আটক শরিফুল সাইফ আলি খান-কারিনাদের বাসা গিয়েছিলেন? তিনিই কি সাইফের ওপর হামলা করেছেন?

ভারতীয় গণমাধ্যম মিড ডে প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহারাষ্ট্র সিআইডির ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বলিউড তারকা সাইফ আলি খান ও কারিনা কাপুরের বাড়ি থেকে হামলাকারীর যে ১৯টি ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়া গেছে; পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সেগুলোর সঙ্গে আটক শরিফুলের আঙুলের ছাপের কোনো মিল নেই।

জানা গেছে, আটক শরিফুল ইসলামের ১০টি আঙুলের ছাপও পাঠানো হয়েছিল। এগুলো পরীক্ষা করে মহারাষ্ট্র সিআইডির ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, সাইফ আলী খানের বাড়ি থেকে পাওয়া ১৯টি নমুনার একটিও মিলছে না শরিফুলের সঙ্গে। তাহলে সেগুলো কার- এ নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

শরিফুলের বাবা রুহুল আমিন শুরু থেকে বলে আসছেন, তার ছেলে আর সাইফের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে যাকে দেখা গেছে, তিনি এক ব্যক্তি নন। গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শরিফুল ইসলামের বাবা রুহুল আমিন বলেছেন, ‘সিসিটিভিতে যে ছেলেটিকে দেখছি, সে আমার ছেলে নয়। পুলিশ যাকে গ্রেপ্তার করেছে, সে-ই আমার ছেলে। সিসিটিভিতে যে ছেলেটিকে দেখা যাচ্ছে, তার মুখের ধরন আর চুলের স্টাইলের সঙ্গে আমার ছেলের কোনো মিল নেই।’

শরিফুলের বাবা আরও বলেন, ‘গত বছর মার্চ-এপ্রিল নাগাদ শরিফুল ঝালকাঠির বাসা ছেড়ে চলে গিয়েছিল। পরে জানতে পারি ও ভারতে আছে। তবে ভারতের কোথায় আছে, অতশত বুঝতাম না। মাসের ১০ তারিখে শরিফুল বেতন পেত। আর আমাদের প্রত্যেক মাসের ১২ তারিখের মধ্যে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা পাঠাত।’ তবে পুলিশ নিশ্চিত, শরিফুলই সাইফ-কারিনার বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদেও পুলিশ এমন তথ্য পেয়েছে, যা প্রমাণ করে সেদিন রাতে হামলা চালিয়েছিল শরিফুলই। পুলিশের দাবি অনুযায়ী, তার কাছ থেকে বাংলাদেশের নথিও উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, তাহলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট মিলছে না কেন?

গত ১৬ জানুয়ারি গভীর রাতে সাইফ আলি খানের বাড়ির ভেতরে ঢুকে ধারালো ছুরি দিয়ে হামলা চালায় দুর্বৃত্ত। গুরুতর আহত হন সাইফ আলি খান। ভোররাতে তাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে রক্তাক্ত অবস্থায় ভর্তি করা হয়।

প্রাথমিকভাবে মুম্বাই পুলিশের অপরাধ দমন শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, বান্দ্রার সৎগুরু শরণে সাইফের ওই ফ্ল্যাটের সামনের সিসিটিভি ক্যামেরা সক্রিয় ছিল না। যদিও পরে পুলিশ দাবি করে, বিকল্প দরজার দিকে পেছনের সিঁড়ির ক্যামেরা থেকে কিছু ফুটেজ পাওয়া গেছে।সিসিটিভি ফুটেজে সামনে আসা এক ব্যক্তির চেহারার ওপর ভিত্তি করে প্রাথমিকভাবে চারজনকে আটক করেছিল মুম্বাই পুলিশ। একেবারে প্রথমে যাকে আটক করা হয়, তাকে তখনই ছেড়ে দেয় পুলিশ। এ ছাড়া মধ্যপ্রদেশ থেকে দুজনকে আটক করা হয়। সবশেষ গত রোববার গ্রেপ্তার হন শরিফুল।

সম্পর্কিত সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ সংবাদ