27.5 C
Rajshahi
বুধবার, আগস্ট ৬, ২০২৫

Buy now

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

রাবিতে মাস্টাররোল কর্মচারীদের প্রশাসন ভবন ঘেরাও

print news

রাবি প্রতিনিধি দুর্জয় : চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে রাজাশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কর্মরত মাস্টাররোল কর্মচারীরা শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবন ঘেরাও করেছেন। শুক্রবার (০৭ মার্চ) বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ‘মাস্টাররোল কর্মচারী ঐক্য পরিষদ’র পক্ষে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।

কর্মসূচির বিষয়ে আন্দোলনরত কর্মচারীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের পরই আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি সর্বপ্রথম আমাদের চাকরি স্থায়ী করবেন। আমরা তাঁর উপর আশ্বাস রেখে অনেক সময় দিয়েছি। আমাদের স্থায়ীকরণের বিষয়টি আগামী ৯ তারিখের সিন্ডিকেটে উঠানোর কথা থাকলেও আমরা জানতে পারলাম সিন্ডিকেটে তা উত্থাপিত হবে না। সেজন্যই আমরা বাধ্য হয়ে আজকে এখানে অবস্থান নিয়েছি। আমাদের দাবি একটাই ২০০৪ সাল থেকে মাস্টাররোলে নিয়োগপ্রাপ্ত সকল কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ করতে হবে৷ পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন ভাতা, প্রমোশনসহ সকলকিছু প্রদান করতে হবে।

জানতে চাইলে মোস্তাফিজুর রহমান বিদ্যুৎ নামের এক মাস্টাররোল কর্মচারী বলেন, আমাদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার কার্যক্রম শেষ হয়েছে অনেকদিন আগে। গত মাসে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট মিটিংয়ে আমাদের বিষয়টি উপস্থাপন করার আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা হয় নি। আজ আমাদের কয়েকজন প্রতিনিধিকে ডাকা হয়। সেখানে আমাদের বলা হয়, আইনি জটিলতার কারনে স্থায়ী করণের বিষয়টি স্থগিত রয়েছে। যোগদানের তারিখ থেকে এখন পর্যন্ত যতদিন কাজ করেছি সেসব দিন অন্তর্ভুক্ত করে আমাদের চাকরি স্থায়ী করতে হবে। আজ আমরা চাকরির স্থায়ী করণ করে যাবো না হয় মৃত্যুবরণ করবো।

মাস্টাররোল ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও খালেদা জিয়া হলের হিসাব সহকারী মামুন তালুকদার বলেন, আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা ১৫ থেকে ২০ বছরেরও অধিক সময় দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কাজ করছেন। বিগত প্রশাসন বিভিন্ন সময়ে আশ্বাস দিলেও আমাদের চাকরি স্থায়ী হয় নি। বর্তমান প্রশাসন দায়িত্বে আসার পর আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন ৩ মাসের মধ্যে চাকরি স্থায়ী করবেন। কিন্তু ৭ মাস অতিক্রম হলেও এখনো তা হয় নি।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া। যেকারণে আমরা ৯ তারিখের সিন্ডিকেট মিটিং এ এই ব্যাপারটা তুলতে নিরুৎসাহিত করেছি। এটা তাদেরই স্বার্থে করা হয়েছিলো। কারণ তাদেরই একাংশ ২০০১ সালে এই নিয়োগ না হওয়ায় মামলা করে। যে মামলা এখনো চলমান। এছাড়াও ২০০৬ সালে হওয়া লিখিত পরীক্ষা এবং ভাইভার নথিপত্রও এখন পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু তাদের ব্যাপারে আমরা এখনো ইতিবাচক। আজকে তাদের সাথে উপাচার্য স্যার কথা বলেছে এবং আমরা ৯ তারিখে সিন্ডিকেটে এই বিষয়টি উত্থাপন করবো। পরবর্তীতে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাদের নিয়োগ দেয়া হবে।

সম্পর্কিত সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ সংবাদ